সুন্দরবনে আজ থেকে বাঘশুমারি শুরু
চার বছর বিরতির আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে সুন্দরবনের বাঘগণনা। ‘সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’-এর আওতায় বনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের (ফাঁদ) মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এই বাঘগণনার কাজ। বনের কালাবগি এলাকা থেকে শুরু হবে বাঘ জরিপের কাজ। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের জরিপ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এবারই প্রথম বাঘের পাশাপাশি হরিণ ও শূকর গণনা করা হচ্ছে। এজন্য সুন্দরবনের ৬৬৫ স্পটে বসানো হচ্ছে জোড়া ক্যামেরা।
বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে তিন হাজার ৮৪০টি বাঘ প্রকৃতিতে টিকে আছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে ১১৪টি। ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল ১০৬টি।
এদিকে, সম্প্রতি বাঘ ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এ বিষয়ে সুন্দরবন ট্যুরিজম আসোসিয়েশনের সভাপতি মঈন জমাদ্দার জানান, বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এমনটি হতে পারে। অথবা বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে বাঘ খাদ্যের সংকটে বন ছেড়ে লোকালয় আসছে।
এবার বাঘগণনা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর আওতায় সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ ও সুরক্ষার কাজ করা হবে। এর মধ্যে তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করা হবে বাঘের গণনায়।
প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার জন্য বনের বিভিন্ন এলাকায় ২০০টি বিশেষ ক্যাটাগরির ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘বাঘের সংখ্যা গণনা ছাড়া বলা সম্ভব না। তবে, হরিণ এক লাখ বিশ হাজার ও শূকর বেড়েছে। গণনা ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে। দুই বছর পর সঠিক চিত্র বলা যাবে।’