সুন্দরবনে সুপেয় পানি সংরক্ষণে চলছে পুকুর খনন

Looks like you've blocked notifications!
সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বনজীবী ও বণ্যপ্রাণির সুপেয় পানির চাহিদা পূরণে বনের ভেতর চলছে নতুন পুকুর খনন ও সংস্কারের কাজ। ছবি : সংগৃহীত

সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বনজীবী ও বণ্যপ্রাণির সুপেয় পানির চাহিদা পূরণে বনের অভ্যন্তরে চলছে নতুন পুকুর খনন ও সংস্কারের কাজ।

বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুন্দরবনের টেকসই বন ব্যবস্থাপনার ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় চলমান এ খনন কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা।

চলতি বছরের শুরুতেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে বনবিভাগ।

এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব সুন্দরবনের জয়মনি, হাড়বাড়িয়াসহ কয়েকটি এলাকায় পুকুর খনন কাজের পরিদর্শন করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনবিভাগের খুলনাঞ্চলের উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. মঈনউদ্দিন খান ও পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

বনবিভাগের খুলনাঞ্চলের উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. মঈনউদ্দিন খান জানান, পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় চারটি নতুন পুকুর খনন, ৮০টি পুকুরের সংস্কারের মাধ্যম পূর্ণ খনন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৬০টি পুকুরের পূর্ণ খনন ও দুটি নতুন পুকুর খনন কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই এ প্রকল্পের সব কাজ সমাপ্ত করা হবে বলে জানায় বনবিভাগ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘নতুন পুকুর ও সংস্কারকৃত পূর্ণ খনন পুকুরে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল বনজীবী ও বন কর্মকর্তা আর বন্যপ্রাণিদের জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া পুকুরগুলোর বাঁধ উঁচুকরণের ফলে জোয়ারে নদীর লবণ পানি আর ঢুকতে পারবে না, এতে লবণাক্ততার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে বনের জীববৈচিত্র্য।