সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিত করা হলে স্থানীয় বাসিন্দা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় তিন লাখ মানুষ জীবিকা হারাবে বলে দাবি করেছে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন—এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে হুমকির মুখে পড়বে পর্যটনখাতসহ বিনিয়োগকারীদের শত শত কোটি টাকা। তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক মানবন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, জাহাজ মালিক সমিতি সভাপতি তোফায়েল আহমদ, হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর ও টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন সরকার সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনে নয়শর বেশি পর্যটক ভ্রমণে যেতে পারবে না। একই সঙ্গে যেসব পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাবেন, তাঁদের এক হাজার টাকা করে ভ্যাট দিতে হবে। এসব সিদ্ধান্ত পর্যটনের জন্য আত্মঘাতী। এতে করে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ক্ষতি হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিতকরণ বা রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে এ অঞ্চলের পর্যটনশিল্পে ধস নামবে। পর্যটকদের ভ্রমণে নিয়োজিত সাত-আটটি জাহাজ, ২০০-৩০০ বাস-মিনিবাস, ১০০ মাইক্রোবাস, ২০০ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, ৪০০ টুরিস্ট গাইড এবং দ্বীপের ১২০টি হোটেল-কটেজ ও ৭০টি রেস্তোরাঁয় কর্মরতদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।