সেবা দেওয়ার সুযোগ না পেয়ে বিপাকে কুমিল্লা সিটির ৯ নারী কাউন্সিলর

Looks like you've blocked notifications!

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের নয়জন নারী কাউন্সিলর কাজ করার ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সম্মুখীন হওয়ায় জনগণকে সেবা দিতে না পেরে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন সনদপত্র দিতে না পারায় মর্যাদাহানিসহ জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন নারী কাউন্সিলররা। এতে সাধারণ জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিবারের নারীরা এসব কাজে বেশি সময় দেন। কারণ, তাঁরা স্থানীয় নারী জনপ্রতিনিধিদের কাছে এসব কাজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

সূত্র জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়াদে পাঁচ বছর সব ধরনের সনদ দিতে পারলেও দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্র সীমিত করে ফেলা হয়।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেবাপ্রত্যাশী কামরুন্নাহার বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে নারী কাউন্সিলরের কাছ থেকে ফিরে এসেছি। তাঁরা নাকি জন্মনিবন্ধন করতে পারে না। তাহলে তাঁদের ভোট দিয়ে কি লাভ?’

সাধারণ ওয়ার্ড ১৩, ১৪, ১৫ ও সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরজাহান আলম পুতুল বলেন, ‘আমাদের জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন করার দায়িত্ব না দেওয়ায় জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। জনগণের ভোটের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে প্রাপ্য অধিকারটুকু প্রতিষ্ঠিত করার দাবি করছি।’

সাধারণ ওয়ার্ড ১, ২, ৩ ও সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউছারা বেগম সুমি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে নারীর পদচারণা নেই। সংরক্ষিত আসনের একজন কাউন্সিলর জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধনে আমাদেরও দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

৭, ৮ ও ৯ সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উম্মে কুলসুম মুনমুন বলেন, ‘জনগণের সরাসরি ভোটে তিন গুণ বেশি ভোটার ও এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েও আজ আমরা অবহেলিত। জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধনের কাজ করতে না পারায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।’

সাধারণ ওয়ার্ড ৪, ৫, ৬ ও সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাদিয়া নাছরিন বলেন, ‘অন্যান্য কাজের পাশাপশি জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন করার ক্ষমতা আমাদের দেওয়া উচিত। কাজ করতে না পেরে আমরা জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়ছি।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘নারী জনপ্রতিনিধিরা সম্মানিত হোক, সেটা আমিও চাই। যেগুলো আইনে নেই, এমন অনেক কাজেও তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। তবে আইনে না থাকায় তাঁদের নিবন্ধনের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিলে আমরা তাঁদের কাজের সুযোগ দিতে পারব।’