সেহরির সময় বাসায় হামলা, অভিযোগ চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে

Looks like you've blocked notifications!
বাগেরহাটের কচুয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত দুই নারী সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ছবি : এনটিভি

বাগেরহাটের কচুয়ায় উপজেলায় একটি বাড়িতে গতকাল দিবাগত ভোররাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের মারধরে দুই নারীসহ তিনজন আহত হয়েছে। আহত দুই নারীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।    

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাতে উপজেলার রাঢ়ীপাড়া গ্রামের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম (৩৮)। তিনি দাবি করেন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে মেহেদী হাসান বাবুর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলার সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি।

তবে এ ব্যাপারে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

আহতরা হলেন, জাহিদুল ইসলাম (৩৮), তাঁর মা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রহিমা বেগম (৬০) ও জাহিদুলের শাশুড়ি নাহার বেগম (৫০)। দুই নারীই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে তারা চলে আসে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো. শাফিন মাহমুদ বলেন, অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, গতকাল ভোররাতে রাঢ়ীপাড়া গ্রামে তিনি সেহরি খাচ্ছিলেন। এ সময় মেহেদী হাসান বাবু ১৫-২০ জন লোক নিয়ে তাঁকে ডাকতে থাকেন। তিনি দরজা না খোলায় কুড়াল দিয়ে দরজা কেটে ছিটকিনি খুলে ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে মারপিট শুরু করে।

এ সময় জাহিদুলের শাশুড়ি নাহার বেগম এগিয়ে গেলে তাঁকে পিটিয়ে জখম করে। মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে সন্তানের জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন জাহিদুলের মা রহিমা বেগম। তাঁকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে তাদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে জাহিদুল বিবস্ত্র অবস্থায় ছুটে পালান। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি জীবন বাঁচাতে ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু কচুয়া থানা পুলিশ অনেক পরে ঘটনাস্থলে আসে। তিনি জীবনের নিরাপত্তার জন্য এলাকা ছেড়ে শহরে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানান।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান বাবু বলেন, ‘ওই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে জেলা থেকে এমন তথ্য পেয়ে আমরা গ্রামপুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালাই। ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের দরজা খুলতে বললে তারা দরজা খুলেনি। তাই আমার সঙ্গে থাকা দু-একজন একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলে।’