সৈয়দপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত, আহত ৩

Looks like you've blocked notifications!
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় ভোটের দিন দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ছোটন অধিকারী নামের একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিনজন। ছবি : এনটিভি

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় ভোটের দিন দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ছোটন অধিকারী নামের একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিনজন।

আজ রোববার সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, দুপুরে সৈয়দপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছিল। বেলা ১১টার পর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েল ও আখতার হোসেন ফেকুর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নেয়। সে সময় ছোটন অধিকারী নিহত হয়। এ ছাড়া আরও তিনজন আহত হয়েছে। এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, ছোটন অধিকারী শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত নিতাই অধিকারীর ছেলে। ছোটন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েলের সমর্থক ছিল।

আহত তিনজনের একজন আজম আলী সরকার। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সৈয়দপুর মহিলা কলেজের সামনে ছোটন অধিকারীকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আক্তার হোসেন ফেকুর সমর্থকেরা মারপিট করছিল। সে সময় আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমার ওপর চড়াও হয়ে বেধরক মারপিট করে। তখন আমি মাটিতে পড়ে যাই। এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে জানতে পারি ছোটন অধিকারী মারা গেছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। কিন্তু আমাদের কোনো কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আমরা মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখছি।’

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওমিদুল হাসান বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ছোটনের স্ত্রী তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে সময় আরো লোকজন ছিল। হাসপাতালে তাঁকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়া আমাদের হাসপাতালে আরো তিনজনকে নিয়ে আসা হয়, যারা আহত।’