সৈয়দ আশরাফের জনপ্রিয়তায় এখনও অনেকে ভীত : হানিফ

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (বায়ে) এবং দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন দলটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

আজ শুক্রবার মাহবুব-উল আলম হানিফ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই দাবি জানান।

আওয়ামী লীগনেতা বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বল্পভাষী, মিষ্টভাষী, নির্লোভ, নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। কখনো কারো বিরুদ্ধাচরণ করা অথবা কারো কোনো ক্ষতি করেছেন এমন নজির নেই।’

‘অথচ গত রাত্রে সেই মানুষটির ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। সৈয়দ আশরাফের জনপ্রিয়তাই কি এই ঘটনার মূল কারণ? মৃত আশরাফের জনপ্রিয়তায় এখনও অনেকে ভীত বলে মনে হচ্ছে’, যোগ করেন হানিফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার মধ্যে কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুর করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা সৈয়দ আশরাফের ছবি সংবলিত ম্যুরাল ও মেয়র পারভেজ মিয়ার উদ্বোধনী স্মৃতিফলকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। জেলা শহরের আখড়া বাজার সেতুর উত্তরদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালটি অবস্থিত।

ভাঙচুরের ঘটনাকে দুস্কৃতকারীদের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এবং পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ। এরই মধ্যে আজ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ সকালে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এ ছাড়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন কিশোরগঞ্জে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চ।