সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা, চালকসহ আহত ১০
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও হরতাল পালিত হয়েছে।
হরতাল চলাকালে আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালায় হরতাল সমর্থকেরা। হামলায় ইঞ্জিনসহ ১৪টি বগির ১৩২টি গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হরতালকারীদের ইটপাটকেলে ট্রেনে থাকা ৩৫০ যাত্রী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় ট্রেনের আট যাত্রী আহত হন। অবস্থা বেগতিক দেখে চালক তাৎক্ষণিক ট্রেনটিকে ঘটনাস্থল থেকে ভৈরব স্টেশনে নিয়ে আসেন।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমোটিভ চালক মোহাম্মদ হানিফ জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর স্টেশন অতিক্রম করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আউটার সিগন্যাল পার হওয়ার সময় আউটার সিগন্যালে ট্রেনের লাইনে গাছ ফেলে ট্রেনটি থামায় হরতাল সমর্থকেরা। থামার পর শতশত হরতাল সমর্থক ট্রেনে বৃষ্টির মতো পাথর ছুড়তে থাকে। এ সময় কোনো উপায় না দেখে ট্রেনটি ব্যাক করে আশুগঞ্জের তালশহর স্টেশনে এনে দাঁড় করান তিনি। পরে যাত্রীদের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেল স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে তালশহর স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, সোনার বাংলা ট্রেনটি নিরাপদে থাকার জন্য এটিকে ভৈরব স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।
ট্রেনের যাত্রী বরুণ ভট্টাচার্য জানান, ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছাকাছি যাওয়ার পরই হেফাজতের হুজুররা ট্রেনে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে দেয়। এ সময় ট্রেনের যাত্রীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে এবং চিৎকার-চেচামেচি শুরু করে। পরে চালক কোনো রকমে ট্রেনটিকে ব্যাক করে আশুগঞ্জে তালশহর স্টেশনে নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী একটি ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিক্রম করার সময় ইঞ্জিনে ইটপাটকেল ছুড়লে এতে ট্রেনটির চালক আনোয়ার হোসেন ও সহকারী ট্রেনচালক সবুজ হাসান আহত হন। বর্তমানে ট্রেনগুলো ভৈরব স্টেশনে আটকে আছে।