সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে, স্থিতিশীল সবজি

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজধানীবাসী। এরই মধ্যে চলছে কেনাকাটাও। বন্ধের দিন হওয়ায় শুক্রবার বাজারে ভিড় থাকে। তবে, আজ ছিল বেশ ফাঁকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এদিন রাজধানীর বাজারগুলো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কমেছে। সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটোর দাম। কিন্তু, শসার দাম কমেছে বেশ।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শুক্রাবাদ, হাতিরপুল, শান্তিনগর ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে এসচব দৃশ্য দেখা গেছে। কেজিতে সোনালি মুরগির দাম কমেছে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগির কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা। কিন্তু, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মুরগির দামের বিষয়ে রবিউল হাসান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে সোনালি মুরগির দাম কমতির দিকে। কিছুদিন আগে সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ টাকা বিক্রি করেছি, সেই মুরগি এখন ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। মনে হচ্ছে সামনে সোনালি মুরগির দাম আরও একটু কমতে পারে।’

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজির দামে পরিবর্তন আসেনি। তবে, গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম কমে এখন ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আজ পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিটির দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

টমেটোর মতো অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি ও বেগুনের দাম। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে, করলার দাম কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এসেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

এ ছাড়া কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে নতুন আসা বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এ সময় সাধারণত সবজির দাম বেশি থাকে। কারণ এখন সবজির সরবরাহ কম। আমাদের ধারণা আরও কয়েক মাস সবজির দাম বাড়তি থাকবে। শীতের সবজি আসলে আবার দাম কমে যাবে।’

এদিকে, ব্যবসায়ীরা আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এগুলোর দামে পরিবর্তন আসেনি।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।