সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা দিতে জিপিকে নির্দেশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/02/20/gp-btrc.jpg)
আগামী সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে (জিপি) নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালতের আদেশকে ছোট করে দেখার মানসিকতা পরিহার করতে হবে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ছোট কোর্ট নয়। টাকা কমানো হবে না, টাকা দিতেই হবে।’
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে গ্রামীণফোন। আজ রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে বিটিআরসির এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। বাকি এক হাজার কোটি টাকা কবে দিতে হবে, সে ব্যাপারে সোমবার আদেশ দেওয়া হবে।
গত ১৪ নভেম্বর বিটিআরসির পাওনা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধে রাজি হয় গ্রামীণফোন। সে সময় বিটিআরসির একজন আইনজীবী আদালতকে জানান যে গ্রামীণফোনকে এখনই পুরো পাওনার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে।
এর আগে গত বছরের ২ এপ্রিল প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি (বিটিআরসির আট হাজার ৪৯৪ কোটি ও এনবিআরের চার হাজার ৮৬ কোটি) টাকা পাওনা দাবি করে গ্রামীণফোন লিমিটেডকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই পাওনা দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে এবং পাওনা দাবির অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চায়।
গত বছরের ২৮ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর বিরুদ্ধে গ্রামীণফোনের পক্ষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।
এর গ্রহণযোগ্যতার শুনানি নিয়ে ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং ওই অর্থ আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।