সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরি করা হয় : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সার্ভিস প্রোভাইডাররা তাদের প্ল্যাটফর্ম অপব্যবহারের দায় এড়াতে পারে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবীর বাস্তবতা। মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়া যত ব্যবহার করে বা দেখে, অন্য মিডিয়ার ক্ষেত্রে তত সময় ব্যয় করে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সময়ে সময়ে এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আমাদের দেশে এবং অন্যান্য দেশেও অস্থিরতা তৈরি করা হয়। এটি ব্যবহার করে চরিত্র হনন ও নানা ধরনের মিথ্যা সংবাদও পরিবেশন করা হয়। কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনের মাধ্যমে যদি এ ধরনের কাজ করা হয়, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী সে পত্রিকা বা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ দায়ী হয়, তাহলে এ ধরনের কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কেন দায়ী হবে না?’

তথ্যমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস যারা দিচ্ছে, তাদের অবশ্যই এ বিষয়ে দায়িত্ব আছে বলেও মনে করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের (সার্ভিস প্রোভাইডার) সুবিধা ব্যবহার করে যদি কেউ অনৈতিক, দেশ-সমাজ-রাষ্ট্রবিরোধী এবং চরিত্র হননকারী কাজ করে, তাহলে তো নিশ্চয়ই যিনি সার্ভিস দিচ্ছেন, তাঁর দায় থাকে। সুতরাং সে দায় তারা এড়াতে পারে না। আমার দেশ থেকে তারা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে, কর দেবে না, আবার এই সুবিধা ব্যবহার করে আমার দেশে ও বিদেশ থেকে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করা হবে, সে জন্য তারা দায়ী থাকবে না, এটি তো হতে পারে না।’

‘সে কারণেই বিভিন্ন দেশে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশ এবং ভারতেও নতুন আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং আমাদের দেশেও অবশ্যই এটি করতে হবে’, যোগ করেন ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩৮ ধারায় সোশ্যাল মিডিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, চরিত্র হনন, সমাজে অস্থিরতা বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি—এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে সোশ্যাল মিডিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করা হলে সে সার্ভিস প্রোভাইডারদের জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনে আরো একটি নতুন আইন করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানান ড. হাছান।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় ‘শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ গ্রন্থের সম্পাদক শামীম আহমেদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বইটিতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘটা উন্নয়নের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা নয়, তাঁর জাদুকরি নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’