সৌদি সহায়তায় ৮ বিভাগে নির্মিত হবে আট ‘আইকনিক মসজিদ’

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ আলদুহাইলান আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

সৌদি আরবের সহায়তায় দেশের আট বিভাগে আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন আটটি ‘আইকনিক মসজিদ’ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ আলদুহাইলান আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি সহায়তায় দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৫৬০টি মসজিদ-কাম-ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি সৌদি সহায়তায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ নির্মাণের কথাও স্মরণ করেন।

বর্তমান সরকার কৃষি খাতে প্রাধান্য দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে কৃষি শ্রমিক পাঠাতে পারে বাংলাদেশ।

ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সব সময় এ সম্পর্ককে মূল্য দেয়। দুই দেশের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা রয়েছে। ‘বাংলাদেশিদের হৃদয়ে সৌদি আরবের বিশেষ স্থান আছে,’ বলেন তিনি।

সৌদি রাষ্ট্রদূত এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে আশা প্রকাশ করেন যে তাঁর নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও জনশক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, সৌদি আরবে ১৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। ‘তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সৌদি অর্থনীতিতে প্রচুর অবদান রাখছেন।’

ইসা ইউসেফ বলেন, সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী এবং তাদের সরকারও দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসার প্রচারে সৌদি আরবে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানায়।

‘সৌদি আরবে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এ ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেব,’ বলেন রাষ্ট্রদূত।

দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিদ্যমান দুর্দান্ত সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দায়িত্ব হবে তাঁর মেয়াদকালে এ সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া।

আলোচনায় করোনভাইরাসের বিষয়টিও উঠে আসে বলে জানান প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে তাঁর অবস্থানকালে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পরে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল একই জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বলে তাঁর প্রেস সচিব জানিয়েছেন।