স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

Looks like you've blocked notifications!

কুষ্টিয়ার মিরপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রীর পরিবার। আজ রোববার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত ছাত্রীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়েকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হলেও পুলিশ কেবল হত্যা মামলা হিসেবে এবং এজাহারে বাদীর দেওয়া আসামিদের নাম বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করেছে।

ছাত্রীর বাবা বলেন, গত ৯ নভেম্বর আদালতে দেওয়া নিহত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে হত্যা করার আগে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। যৌনাঙ্গের ভেতরে ও বাইরে ক্ষত, পেটে, গলায় মেরুদণ্ড বরাবর একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের পেছনে পা পর্যন্ত তরল পদার্থ ঢেলে পোড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া সিগারেটের আগুন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেওয়া হয়েছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে মামলাটি সিআইডি অথবা পিবিআইতে হস্তান্তরের দাবিও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম দাবি করেন, মামলার তদন্ত ঠিকমতোই চলছে। মেডিকেল সার্টিফিকেটে ডাক্তার তো একটা অনুমান নির্ভর রিপোর্ট দিয়েছে যে, এখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ হয়েছে। কিন্তু আমরা ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট পেলেই বুঝতে পারব এখানে ঘটনার সঙ্গে কার কার নমুনা পাওয়া গেছে। তার ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

গত ১৫ জুলাই সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ভাঙা বটতলা এলাকায় একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে ওই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই পুলিশ মিরপুর পৌরসভার কুরিপোল মধ্যপাড়া এলাকার রংমিস্ত্রি মিলনের ছেলে ও আমলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আপনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন গ্রেপ্তারকৃত আসামি আপন একাই ধর্ষণ শেষে ওই স্কুলছাত্রীকে হত্যা করেছে।

পরিবারের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের পর তাদের পক্ষ থেকে চার-পাঁচজনকে আসামি করার কথা বলা হলেও পুলিশ তা না করে একজনকে আসামি রেখে তাদের কাছ থেকে এজাহারে স্বাক্ষর নেয়।