স্ত্রীকে কুপিয়ে ৯৯৯-এ ফোন আওয়ামী লীগ নেতার

Looks like you've blocked notifications!
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় আবদুর রহিম নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার দায়ের কোপে তাঁর স্ত্রী নুসরাত সারমিন রিনার (৩০) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ঘটনার পরই জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার কথা জানান রহিম। এরপরই পুলিশ রহিমকে আটক করে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মৃত্যু হয় রিনার। সাতকানিয়া থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক আবদুর রহিম বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সাতকানিয়ার ফকিরপাড়ায় থাকলেও দীর্ঘদিন বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় বসবাস করতেন।

আবদুর রহিমের প্রতিবেশী কেরানীহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক পরিচালক ওমর ফারুক জানান, আবদুর রহিম বেশ কিছুদিন থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও করানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ঘরে থাকা দা দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তিনি। বাড়ির অন্য লোকজন আহত রিনাকে প্রথমে কেরানীহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আবদুর রহিম স্ত্রীকে উপর্যুপরি কোপানোর পর বোনের বাড়িতে তাঁর সন্তানদের দিয়ে আসেন। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীকে কোপানোর কথা জানিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিদর্শক জায়েদ নুরের নেতৃত্বে পুলিশ আবদুর রহিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে আবদুর রহিম থানায় আটক রয়েছেন। রহিম জানিয়েছেন, তিনি বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।’