স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
ভার্চ্যুয়াল সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : পিআইডি

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শক্তিশালী করে সব স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ বুধবার ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার-ইএএলজি প্রকল্পের আওতায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় এলজিআরডি মন্ত্রী জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা সারা বিশ্বে গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে যত বেশি শক্তিশালী করা যাবে; তত বেশি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য দরকার জনগণের অংশগ্রহণ।

তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা দেওয়ার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ যখন জানবে সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার নির্মূল করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে, তখনই আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাবে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক-শ্রমিক, মৎস্যচাষি অথবা অন্য যেকোনো পেশার মানুষ হোক না কেন; সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কাউকেই উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।

তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামাঞ্চলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ সব অবকাঠামো নির্মাণ অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রামগুলো এখনো অক্ষত রয়েছে, সেগুলো ক্ষত-বিক্ষত করা যাবে না। এজন্য গ্রামাঞ্চলে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এলজিআরডি মন্ত্রী আরো বলেন, এ দায়িত্ব পালনে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল হতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে এসে মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং আবেদন প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হয়—সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদে এসডিজিবান্ধব পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশনা এবং বেশ কিছু নীতি প্রণয়নবিষয়ক কার্যক্রমে ইএএলজি প্রকল্পের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলেও উল্লেখ করেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।

এ ছাড়া প্রকল্পভুক্ত নয়টি জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি), ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর এবং প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।

এ সময় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে অর্থ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার জন্য পানির কল, সাবান, কাপড়ের মাস্ক ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।