স্বাধীনতাবিরোধী চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিএনপি : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী। ছবি : এনটিভি

পঁচাত্তরের আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত বিএনপি দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল ইতিহাসের কালো অধ্যায়। এই সময়ে স্বাধীনতার ইতিহাসকে সুপরিকল্পিতভাবে বিকৃত ও ছিন্নভিন্ন করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সাম্প্রদায়িক চেতনাকে সব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।

মন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ একইসূত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা, নেপথ্যের কারিগর ও উপকারভোগীদের মুখ জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। এ সময় এদের মুখোশ উন্মোচন করতে একটি কমিশন গঠনের ওপরও মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির উত্থানকে প্রতিহত করতে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পরই বাঙালির ওপর প্রথম আগ্রাসনটি ছিল সাংস্কৃতিক। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালিয়ে সাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল পাকিস্তান।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এখনও দেশে পাকিস্তানের সেই ধারা ফিরিয়ে আনতে চায়। সেজন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির উত্থান ও জঙ্গিবাদ-ধর্মান্ধদের রুখতে জনগণের মধ্যে ব্যাপকহারে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় আরও বক্তব্য দেন সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা এমপি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান।