স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ 'রিট্রিট সেরিমনি'

Looks like you've blocked notifications!
বেনাপোল স্থলবন্দরে নোম্যান্সল্যান্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘রিট্রিট সেরিমনি’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন বিজিবির উপমহাপরিচালক মো. ওমর সাদিক। ছবি : এনটিভি

করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ ‘রিট্রিট সেরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয় আজ শনিবার বিকেলে।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এ ‘রিট্রিট সেরিমনি’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবির উপমহাপরিচালক ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার মো. ওমর সাদিক, সেক্টর কমান্ডার মামুন অর রশিদ ও ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার  লে. সৈয়দ মনোয়ার সিদ্দিক এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফের ডিআইজি এন চতুর্বেদী, ১৭৯ বিএসএফের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল তাসমিকান্ত ও কর্নেল স্টাভার সিংহ।

বিজিবির উপমহাপরিচালক মো. ওমর সাদিক জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আমরা চাই রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি, সেটি যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের কুচকাওয়াজ শেষে দুই দেশের জাতীয় পতাকা নামানো হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

‘রিট্রিট সেরিমনি’ প্যারেডে বিজিবি-বিএসএফের কর্মকর্তারা ছাড়াও  স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ উভয় দেশের সর্বস্তরের জনগণ দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিল তা অটুট রাখার পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এ ‘রিট্রিট সেরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বিকেলে স্বাধীনতা দিবসে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে নোম্যান্সল্যান্ডে কুচকাওয়াজ, জাতীয় পতাকা নামানোর পর মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় বিএসএফ কর্মকর্তাদের হাতে।