স্বামীকে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় মাকে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় নিজের মাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মেয়ে ববি খাতুন। ছবি : এনটিভি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় নিজের মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের বিরুদ্ধে। স্বামীকে মোটরসাইকেল কিনে দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মেয়ে ববি খাতুন। এরপর ব্লেড দিয়ে মা সেলিনা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় মেয়ে ববি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা এসব কথা জানান।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মাকে হত্যার পর তার নয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১৭ হাজার টাকা লুটে নেন মেয়ে ববি। এরপর দুর্বৃত্তরা তার মাকে হত্যা করে মালামাল লুটে নিয়েছে বলে চিৎকার করেন।

ঘটনার পর রাতব্যাপী নাটোর জেলা পুলিশ ও রাজশাহীর সিআইডি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম তদন্ত, আলামত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে। পরে ববি খাতুন মাকে হত্যার কথা স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ববি খাতুনের প্রথম যে বিয়ে হয়েছিল তা ভেঙে যায়। স্বামী পরিত্যক্তা অবস্থায় প্রবাসী খালাত ভাইয়ের সঙ্গে ববির দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সেই স্বামীর জন্য তিনি মা-বাবার কাছে মোটরসাইকেল দাবি করেন। ববির মা মোটরসাইকেল দিতে রাজি না হওয়ায় ববি তাকে হত্যা করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ববির ভাষ্য অনুযায়ী তার মা-বাবা তাকে পছন্দ করেন না। কেন যে তাকে পছন্দ করেন না তা তিনি জানেন না। তবে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ববির আচরণগত সমস্যার কারণেই মা-বাবা তাকে পছন্দ করেন না। এসব দ্বন্দ্বের কারণে মা-বাবার সঙ্গে মেয়ের একটি বিরাট বিরূপ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।

এসপি লিটন বলেন, গতকাল ববি শ্বশুর বাড়ি টাঙ্গাইল থেকে বাবার বাড়ি আসেন। এরপর মায়ের কাছে মোটরসাইকেল চেয়ে না পেয়ে ব্লেড দিয়ে মায়ের গলায় আঘাত করেন। এতে তার শ্বাসনালী কেটে যায়। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মারা যান।