জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

স্বামীসহ পাপিয়া দুদকের রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে আজ সোমবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা

জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে আবারও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডের জন্য আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক শাহিন আরা মমতাজের তদন্তদল।

এর আগে গত ৪ আগস্ট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে র‍্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে থাকা, রেস্টুরেন্টের খাবার, রেস্টুরেন্টের মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন তিনি। যে টাকার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। 

এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসা ভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁর এবং তাঁর স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।