স্বাস্থ্য খাত ভেন্টিলেটরে, রাষ্ট্র লাইফ সাপোর্টে : ড. খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স্বাস্থ্য সেক্টর এখন ‘ভেন্টিলেটরে’ আর দেশ আছে ‘লাইফ সাপোর্টে’।
আজ বুধবার বিকেলে ১/১১-এর সরকার কর্তৃক চক্রান্তমূলক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপির এই শীর্ষ নেতা এই মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় বিএনপির অন্য নেতারা এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই সময় থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের দিনটিকে খালেদা জিয়ার কারাবন্দি দিবস হিসেবে পালন করে দলটি। দিবসটি উপলক্ষে আজ এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে রাখা বক্তব্যে বিএনপির নেতারা সমালোচনা করেন করোনাকালে বর্তমান সরকারের নানা কার্যক্রম নিয়ে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই করোনার কারণে সরকারের শুধু স্বাস্থ্য সেক্টর নয়, সব সেক্টরে তাদের যে ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও লুটপাট- সবকিছু আজকে জনগণের কাছে নগ্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভেন্টিলেটরে আর রাষ্ট্র আজকে লাইফ সাপোর্টে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে, যদি এই অন্ধকার গহ্বর থেকে রাষ্ট্রকে উদ্ধার করতে হয়, লাইফ সাপোর্ট থেকে যদি আবার প্রাণসঞ্চার করাতে হয় রাষ্ট্রকে- তার দায়িত্ব নিতে হবে একমাত্র বিএনপিকে।’
শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্তের অংশ হিসেবেই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন দলের আরেক নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ। তিনি বলেন, ‘মঈনুদ্দীন-ফখরুদ্দিন সরকারের ২০০৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই আওয়ামী লীগ সরকার…। এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন যে হতে পারে না, সেটা তাঁরা নিজেরাই প্রমাণ করেছে। দেশের মানুষও বিশ্বাস করেন যে, এদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
আর দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা যদি আজকে রাজপথে নামতে পারি, আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রবিরোধী ভয়ঙ্কর… যেটা কিছুক্ষণ আগে আমাদের একজন নেতা বললেন, পুতুল সরকার…। এটা আধিপত্যবাদের পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা শুধু তাদেরই এজেন্ডা এখানে বাস্তবায়িত করছে। তাদের সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার, জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা- এটাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি।’