হত্যার পর লাশ উদ্ধার, জানাজা-দাফনেও অংশ নেয় খুনি
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় কাঠমিস্ত্রি মো. আবুল বাশারকে (৪১) হত্যা করে বাড়ির পাশে পাহাড়ের খাদে ফেলে দেয় খুনি। পরে পুলিশের সঙ্গে পাহাড়ের খাদ থেকে মরদেহ উদ্ধার, জানাজা থেকে দাফন সবখানেই অংশ নেয় সে।
আজ বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ।
পুলিশ সুপার জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার আবুল বাশার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর প্রতিবেশী আবদুস সালাম ও সালামের সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাঠি, দা, কাঠের বল্লি ও দড়ি জব্দ করা হয়। আবদুস সালাম ও আনোয়ার হোসেন গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আবদুল আজিজ জানান, গত ২৭ মে বৃহস্পতিবার মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের বাঙ্গালটিলা এলাকায় কাঠমিস্ত্রি মো. আবুল বাশারকে গল্প করার কথা বলে নিজের মুরগির খামারে ডেকে নেন প্রতিবেশী আবদুস সালাম। একপর্যায়ে আবদুস সালামের কাছে পাওনা সাড়ে তিন লাখ টাকা চাইলে আবুল বাশারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুস সালাম প্রথমে লাঠি দিয়ে আবুল বাশারের মাথায় আঘাত করেন। পরে গলায় দড়ি প্যাঁচিয়ে ধরেন। এরপর অপর সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে সাগরের সহায়তায় কাঠের বল্লিতে হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে আবুল বাশারের বাড়ির পাশে পাহাড়ের খাদে মরদেহ ফেলে দেন। পরে দায়ের উল্টো দিক দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় খুনিরা। হত্যার পর খুনি আবদুস সালাম পুলিশের সঙ্গে আবুল বাশারের লাশ উদ্ধার, জানাজা থেকে দাফন সবখানেই অংশ নেয়।
ঘটনার একদিন পর নিহত আবুল বাশারের ছোট ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপরই ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে দুজনকে।