হল বাঁচলে চলচ্চিত্র শিল্প ও শিল্পীরা বাঁচবে : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিনেমা হল বাঁচলে চলচ্চিত্র শিল্প ও শিল্পীরা বাঁচবে। প্রকৃতপক্ষে অনেকগুলো হল বন্ধ হয়ে গেছে। হল না থাকলে চলচ্চিত্র বাঁচবে না, আর চলচ্চিত্র না বাঁচলে শিল্পীরাও বাঁচবে না।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি (বিএফপিডিএ), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একথা বলেন।

তথ্য সচিব কামরুন নাহারের পরিচালনায় বিএফপিডিএ সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ ও প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যম হচ্ছে হল। কিছু কিছু টেলিভিশনে রিলিজ করা হয়। কিন্তু মূল মাধ্যম হচ্ছে হল। প্রযোজক সমিতির সভাপতি যথার্থই বলেছেন, এখন হল বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। প্রযোজকদের অসুবিধা হলো, একটি ছবি যখন তারা নির্মাণ করেন, তখন টাকা উঠে আসে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমি শিল্পী হিসেবে টিকে থাকবো যদি হল থাকে। যদি শিল্পটাই হারিয়ে যায়, তাহলে শিল্পী হিসেবে টিকে থাকার সুযোগটাও থাকবে না। এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

সিনেমা হল বাঁচাতে তাঁর মন্ত্রণালয়ের নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কিভাবে স্বল্প সুদে হল মালিকদের দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গেও আলাপ করা হবে এবং একটা সমাধানে পৌঁছানো যাবে।

সেইসঙ্গে সিনেমা হলের বিদ্যুৎ বিল হ্রাসে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া পত্রের বিষয়ে পুনরায় তাগিদপত্র ও আলোচনা করা হবে বলেও জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ ঘোষণার পরও শিল্পের মালামাল আমদানি ক্ষেত্রে যে সুবিধা আছে সেই সুবিধাটা নিশ্চিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে, গেজেটে পরিবর্তন আনতে হবে।