হাইকোর্টে জামিন পাননি ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন

Looks like you've blocked notifications!
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। ফাইল ছবি

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ওসি মোয়াজ্জেম হাইকোর্টে আগেই আপিল করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে এই টাকা ভুক্তভোগী নুসরাত জাহানের পরিবারকে দিতে হবে।

২০১৮ সালের ১৭ জুলাই সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১৮ সালের ২৭ মে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত তা আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। এর ২০ দিনের মাথায় ১৬ জুন মোয়াজ্জেম হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

নুসরাত জাহানকে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে তার মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। পরে ১০ এপ্রিল তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর ১০ দিন আগে নুসরাত মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই রায় ডেথ রেফারেন্স হিসেবে শুনানির জন্য হাইকোর্টে রয়েছে।