হামলায় গৃহবধূর মৃত্যু : এনটিভি অনলাইনে খবরের পর মূলহোতা গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
গ্রেপ্তার আসামি সজল শরীফ। ছবি : আসামির হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল থেকে নেওয়া

গোপালগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তদের হামলায় গৃহবধূ লাভলী বেগম (৩৫) মারা যাওয়ার ঘটনায় এনটিভি অনলাইনে খবর প্রকাশের পর মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি সজল শরীফকে (৪১) নড়াইল জেলার লোহাগড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, আজ নিহত গৃহবধূ লাভলী বেগমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার আগেই এনটিভি অনলাইনে খবরটি প্রকাশিত হয়। খবরটি এসপি আয়েশা সিদ্দিকার নজরে পড়লে তিনি এর মূল হোতাকে আটকের নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলমের নেতৃত্বে নড়াইল জেলার লোহাগড়া বাজার এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি ফিরোজ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সজলকে নড়াইল থেকে কাশিয়ানীতে আনা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যার মোটিভ যানা যাবে।’

এর আগে আজ ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান গৃহবধূ লাভলী বেগম। হামলায় আহত স্কুলপড়ুয়া ছেলে মো. রতন (১৫) ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাগঝাপা গ্রামের আকরাম শরীফের লোকজনের সঙ্গে নিহত গৃহবধূর স্বামী সাহেব আলীর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় আকরাম শরীফের ছেলেরা সবসময় সাহেব আলীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। এসব বিষয় নিয়ে গত শনিবার (৭ জানুয়ারি) একটি সালিশ হওয়ার কথা।

কিন্তু এর আগেই গত শুক্রবার (৬ জানুযারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাহেব আলীর বাড়ির জানালা ভেঙে পাঁচ থেকে ছয়জন দুর্বৃত্ত ঘরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত লাভলী বেগম ও তাঁর ছেলেকে চোখ বেঁধে ফেলে। পরে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাতে দুজনকে আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।