হামলায় দিনাজপুর আইনজীবী সমিতির সভা পণ্ড, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভা পণ্ডের পর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. সাইফল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে হামলা করেছে প্রতিপক্ষ আইনজীবীরা। মূলত পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনাজপুর আদালতপাড়া। ফলে আগে ডাকা সমিতির সাধারণ সভাও পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে। উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে সমিতির নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গের নানা অভিযোগ উত্থাপন করে।

এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সরকার ও সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের কক্ষের সামনে একদল আইনজীবী উশৃঙ্খল আচরণ করাসহ হামলা চালায়। তারা এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও বোতল ছুড়ে মারে। সাধারণ সভা বানচাল করতে তারা আমাদের কক্ষের দরজার লাথি মারে। যা কোনো আইনজীবীর আচরণ হতে পারে না। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান কথা ছিল। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ছাড় দেব না। আগের কমিটি নিজেদের অর্থ লোপাটের বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতেই একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের এই আক্রমণও তারই ধারাবাহিকতা।

অপরদিকে, দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, ‘আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ভুয়া সাধারণ সভা দেখিয়ে সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা করেছেন। তাদের এ কর্মকাণ্ড সমিতির সংবিধানসম্মত নয়। সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তারা সমিতি পরিচালনা করছেন এবং সমিতির ঐতিহ্য নষ্ট করতে নানান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক অগণতান্ত্রিক আচরণ শুরু করেছেন। প্রথমেই সমিতির কক্ষ বণ্টন, এরপর উন্নয়ন কাজ হয়েছে, সে বিষয়ে মামলা ইত্যাদি। তাদের এ রকম কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে সাধারণ আইনজীবীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’