হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের সাত তলায় ৭২০৩ রুমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে সিটিস্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী হাসপাতালে ভর্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির মহাসচিব জানান, করোনায় আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়ার কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন, সেগুলো আজ করা সম্ভব হয়নি। তাই উনাকে আজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বাকি পরীক্ষাগুলো করা হবে। 

এর আগে, শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়াকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর পুনরায় তাঁকে গুলশানের বাসায় নেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল। তখন চিকিৎসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছেন। কোভিডের সব জটিলতা দ্বিতীয় সপ্তাহেই শুরু হয়। সেজন্য তাঁরা বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে চান। খালেদা জিয়ার অক্সিজেনের মাত্রা, পালস রেটসহ বাকি সব দিক থেকেই তিনি ভালো আছেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার যাওয়া-আসার পথে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবরে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির কপি গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) দেওয়া হয়েছে।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ হন। এরপরে দ্রুত ‘বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। তাঁদের তত্ত্বাবধানে গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়।

বাড়তি সতর্কতার জন্য গত ১৫ এপ্রিল রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। পরে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, সিটি স্ক্যানে যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত মিনিমাম। সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন পর গত শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার নমুনা নেওয়া হয়। দ্বিতীয় টেস্টের ওই রিপোর্টেও তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।