হাসপাতাল-ক্লিনিক চিকিৎসা না দিলে লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি

Looks like you've blocked notifications!
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় যেসব বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সাধারণ রোগেও মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছে না প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকার বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

আজ শনিবার এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মানুষ এখন বিপদে আছে, এই বিপদে তাঁরা (প্রাইভেট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানসমূহ) যদি চিকিৎসা না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন তবে সরকারও তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’

বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা বেড পরিদর্শনকালে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বারবার অনুরোধ করার পরও দেখা যাচ্ছে, মানুষ জনসমাগম পরিহার করতে চাচ্ছেন না। জুমার নামাজে মসজিদ ভর্তি হয়েও রাস্তা পর্যন্ত লোক দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরানের মতো মুসলিম দেশ যেখানে এই সময়ে মসজিদে গিয়ে নামাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অথচ আমাদের দেশে এটি কোনোভাবেই মানছে না। এভাবে নিয়ম অগ্রাহ্য করলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কঠিন হবে।’

বাইরে গেলে মাস্ক পরুন

জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘করোনা মোকাবিলা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। দেশে আজও নয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং দুজন মারা গেছে। গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাস কঠিন মূর্তি ধারণ করছে। কাজেই সামনে আমাদের সতর্ক না হয়ে আর উপায় নেই। প্রত্যেকেরই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এখন থেকে সামনের কিছুদিন ঘর থেকে খুব জরুরি না হলে বাইরে বের হওয়াই উচিত হবে না। আর বাইরে কোনো প্রয়োজনে বের হলেই মুখে মাস্ক পরে বের হতে হবে।’

পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।