হাসপাতাল থেকে হাটহাজারী ফিরে গেছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি
ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় ফিরে গেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি। আজ রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পৌঁছান।
হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক ও আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চিকিৎসা শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ফিরেছেন বাবা। এখন অনেকটা সুস্থ আছেন তিনি। সবার সঙ্গে কথা বলছেন, খোঁজখবরও নিচ্ছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে আল্লামা শফী বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ১৪ এপ্রিল আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তাঁকে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠের পাশে অবস্থিত আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর পরই তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রাখা হয়।
গত ১৪ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক ও আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে এনে দুপুরে বাবাকে (আল্লামা শফি) আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আইসিইউতে আছেন। তবে উনার বমি হচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করতে পারছেন না। তবে হুঁশ আছে।’
গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বমি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা সমস্যা নিয়ে আল্লামা আহমদ শফীকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরের দিন ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে মাওলানা আনাস মাদানীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের আমির আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ অনুভব করছেন। তাঁর স্যালাইন চলছে, রাইস টিউব দিয়ে খাবার দেওয়া হচ্ছিল। তিনি এখন স্বাভাবিক আছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। তা ছাড়া আহমদ শফীর শারীরিক সুস্থতায় জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আহমদ শফীর বয়স এখন প্রায় ১০৩ বছর। এর আগেও কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বার্ধক্যের কারণে এসব রোগ দিন দিন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। ফলে তাঁকে ঘন ঘন হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।