হেলপারকে হত্যা করে সাতকানিয়ায় মিনি ট্রাক ছিনতাই
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা থেকে ছিনতাই হওয়া মিনি ট্রাকের হেলপারের মরদেহ সাতকানিয়া থেকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, আজ বিকেলে সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়কের সাতকানিয়া রাস্তার মাথার এক কিলোমিটার পশ্চিমে হাদুর ব্রিজের নিচ থেকে পলিথিন দিয়ে চোখ মুখ বাঁধা অবস্থায় হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাতকানিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ব্রিজের নিচে মরদেহ পাওয়া গেছে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ব্রিজের নিচ থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার নাম বেলাল উদ্দীন (১৫)। সে বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের পূর্ব জঙ্গল কুকদণ্ডী এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। সে একটি মিনি ট্রাকের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল।
নিহত বেলাল উদ্দিনের ফুফাতো ভাই আব্দুল মান্নান জানান, বেলাল একই এলাকার রফিকুর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফের অধীনে একটি মিনি ট্রাকের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল। গত বুধবার দিনগত রাতে কালীপুরের বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের পাশে মাঠে আদর্শ গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় মিনি ট্রকটি ছিল। সেই ট্রাকেই ঘুমিয়ে ছিল বেলাল। সকালে গাড়িটি ওই স্থানে না থাকায় গাড়ির চালক ও মালিক মিলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে আজ বিকেলে সাতকানিয়ায় একটি ব্রিজের নিচে বেলালের লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। কোনো সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী গাড়িটি ছিনতাই করতে গিয়ে বেলালকে হত্যা করে গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, কিশোরের লাশ পাওয়ার সংবাদ শুনেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।