হোম কোয়ারেন্টিন থেকে শ্বশুরবাড়ি পালালেন করোনা রোগী 

Looks like you've blocked notifications!
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : সংগৃহীত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী হোম কোয়ারেন্টিন থেকে শ্বশুরবাড়ি পালিয়ে গেছেন। তিনি ঢাকা ফেরত ইটভাটার শ্রমিক। 

গতকাল বুধবার গভীর রাতে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হোম কোয়ারেন্টিন থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এদিকে আজ বৃহস্পতিবারে পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ উপজেলায় আগের আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে দুইজনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নেগেটিভ এসেছে। বর্তমানে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। 

আজ দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে আসা ভাঙ্গুড়া পৌরসদরের ওই ইটভাটা শ্রমিকের দেহের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। তিনি গত ১৯ মে ঢাকা থেকে ভাঙ্গুড়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁর দেহে হালকা জ্বর ও কাশি ছিল। এমন অবস্থায় স্থানীয়দের মাধ্যমে ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র খবর পেয়ে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ঢাকা-গাজীপুর ও নরায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করেন। তাদের ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করেন। তার মধ্যে পালিয়ে যাওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিও ছিলেন। পাশাপাশি তাদের ফ্রি খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন মেয়র। 

এমতবস্থায় গত ২১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। কিন্তু  ফলাফল পজিটিভ জানতে পেরে গতকাল গভীর রাতে ওই ব্যক্তি কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে পাশের উপজেলা ফরিদপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত রোগী পালিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। মানুষ নিজে নিজে যদি সচেতন না হয় তাহলে অবস্থা আরও অবনতি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানেই তাঁকে আইসোলশনে রাখা হয়েছে।’