১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৫১ টাকা

Looks like you've blocked notifications!

১২ কেজি ওজনের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার বা বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৩৯১ টাকা। আগে মূসকসহ এর দাম ছিল এক হাজার ২৪০ টাকা। একলাফে দাম বাড়ল ১৫১ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে এটি কার্যকর হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো. কামরুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে।

বেসরকারি খাতে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১১৫ টাকা ৮৮ পয়সা। এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।

আগের মাসের চেয়ে কেজিতে দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫৭ টাকা ৮১ পয়সা।

এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথম বারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এই সংস্থা। এর পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।