১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটা, পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। পরে বিকেলে এ বিষয়ে আদেশ দেন আদালত।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রাতে বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গত মঙ্গলবার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়।
আন্দোলন ও সমালোচনার মুখে এরই মধ্যে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষিক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী পদত্যাগের জন্য ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।