১৫ আগস্টে হামলার পরিকল্পনা, ১৪ ‘জঙ্গি’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর পান্থপথের ‘হোটেল ওলিও’ ইন্টারন্যাশনালে অবস্থান নিয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ২৪ নভ্ম্বের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ছাড়া ১৪ আসামির মধ্যে এক আসামি কিশোর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রটি আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। অপরদিকে কিশোরের মামলাটি শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন- আকরাম হোসেন খান নিলয় ওরফে স্লেড উইলসন (২৪), নাজমুল হাসান ওরফে মামুন (২১), আবুল কাশেম ফকির ওরফে আবু মুসাব (২২), আব্দুল্লাহ আইচান কবিরাজ ওরফে রফিক (৪২), তারেক মোহাম্মদ ওরফে আদনান (২২), কামরুল ইসলাম শাকিল ওরফে হারিকেন ওরফে রোবট ও ওরফে তানজিম (২৫), লুলু সরদার ওরফে সহিদ ওরফে মিস্ত্রি (৩০), তাজরীন খানম শুভ (২৯), সাদিয়া হোসনা লাকী (৪৬), আবু তোরাব খান (৫৬), তানভির ইয়াসিন করিম  ওরফে হিটম্যান ওরফে জিন (৩২), হুমায়রা জাকির নাবিলা, নও মুসলিম আব্দুল্লাহ (হিন্দু থাকাকালীন নাম ছিল রনবীর কান্তি দাশ রনি) (৩২) ও তাজুল ইসলাম ওরফে ছোটন ওরফে মোহাম্মদ ওরফে ফাহিম (১৭)। অপরদিকে সাইফুল ইসলাম নামের এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলার মধ্যেই ৩০০ মিটার দূরে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালান কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ওই অভিযানের একপর্যায়ে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল থেকে বিকট বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। বিস্ফোরণে হোটেলের চতুর্থ তলার রাস্তার দিকের অংশের দেয়াল ও গ্রিল ধসে নিচে পড়ে।

নথি থেকে আরো জানা যায়, হামলার পরিকল্পনা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই সময় কলাবাগান থানায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ ইমরুল সায়েদ। ১৪ জন আসামির মধ্যে ১৪ জন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।