১৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে সচল হলো রাঙামাটির শিশুপার্ক

Looks like you've blocked notifications!
১৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে রাঙামাটির একমাত্র শিশুপার্কটি উদ্বোধন শেষে ঘুরে দেখছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। ছবি : এনটিভি

দীর্ঘ ১৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে আলোর মুখ দেখল রাঙামাটির একমাত্র শিশু পার্কটি। আজ বুধবার সকালে পার্কটির উদ্বোধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। 

দীর্ঘদিন অবহেলা আর অযত্নে পড়ে থাকার পর সম্প্রতি জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষে যাত্রা শুরু করল পার্কটি। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় শিশু পার্কটি নবরূপে যাত্রা শুরু করল। 

পার্কটির উদ্বোধন করার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল, পার্ক ব্যবস্থাপনায় কমিটির সদস্য প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ এ সময় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় আমরা কাজটি শুরু করেছি। এখানে এখনো যেটুকু জয়গা বেদখল আছে সেগুলোও দখলমুক্ত করে আরো দৃষ্টিনন্দন করা হবে। পার্কের উন্নয়নে আরো এক কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যেহেতু এটি শহরের একমাত্র শিশুপার্ক এটিকে আরো কীভাবে সুন্দর করা যায় সেজন্য উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে তৎকালীন পৌর মেয়র ওই শিশুপার্কের ভেতর কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সহযোগিতায় হাইকোর্টে মামলা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজ। পরে ২০১৪ সালে নির্মাণাধীন কমিউনিটি সেন্টারটি ভেঙে ফেলা হয়। এর পাঁচ বছর পর আবারো পার্কটির উদ্বোধন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসীও।

পার্ক রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজের সভাপতি ও মামলার বাদী ফজলে এলাহী বলেছেন, আজ রাঙামাটিবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। একটা লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন আজ। এই কৃতিত্ব পুরো রাঙামাটিবাসীর। আমরা শুধুই লড়েছিলাম, লেগে ছিলাম বছরের পর বছরএটাই হয়ত সাফল্য এনে দিল।