১৮টি হরিণের চামড়াসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২
বাগেরহাট জেলার বারাকপুর বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে ১৮টি হরিণের চামড়াসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ খুলনার একটি বিশেষ দল।
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা র্যাব-৬ সদর দপ্তর থেকে ই-মেইল বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাবের দাবি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা সুন্দরবন থেকে হরিণ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চাভিলাষী বিত্তবানদের সরবরাহের ব্যবসা করে আসছিলেন।
র্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণার পর থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য পুনরায় ফিরে আসছে। সুন্দরবনে হরিণ, বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগকে ব্যবহার করে কিছু দুষ্কৃতকারী ব্যক্তি বন্যপ্রাণী শিকারসহ এদের চামড়া পাচার করছে।
লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ বলেন, গতকাল খুলনার র্যাব-৬ সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন বারাকপুর বাজার এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে আহরিত হরিণের চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশে অবস্থান করছে। সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশে আভিযানিক দলটি বারাকপুর বাজারে কাশেম প্লাজায় অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মোড়েলগঞ্জের বহরবনিয়া গ্রামের মো. আব্দুল হাকিম (৫০), শরণখোলার সোনাতলা এলাকার মো. কামরুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে।
এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আসামিদের হেফাজত থেকেটি বড় প্লাষ্টিকের ব্যাগে রক্ষিত অবস্থায় অবৈধভাবে আহরিত ১৮টি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন এবং দুই হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা স্বীকার করে তারা পরস্পর যোগশাজসে সুন্দরবন থেকে চামড়াসহ হরিণের মাংস সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় উচ্চাভিলাষী মানুষের কাছে সরবরাহ করে।