১৮ শর্তে নাইতং পাহাড়ে হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেল
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় নয়, লামা উপজেলার ৩০২ নম্বর মৌজার নাইতং পাহাড় এলাকায় ১৮টি শর্তে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এই হোটেল নির্মাণে ম্রো জনগোষ্ঠীর কোনো ভূমি দখল করা হচ্ছে না। এমনকি প্রস্তাবিত জায়গাটির আশপাশে কোনো পাহাড়ি গ্রাম বা পাড়া নেই এবং অতীতেও ওই স্থানে কোনো বসতবাড়ি ছিল না।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা এসব কথা বলেছেন। আজ রোববার জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য দেন তিনি।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের ভোগ দখলীয় বন্দোবস্তির প্রক্রিয়াধীন লামা উপজেলাধীন নাইতং পাহাড়ে ৩০২ নম্বর মৌজার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় ২০১৪ সালে হর্টিকালচার এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাস্তা নির্মাণ ও ছোটো ছোটো কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক বান্দরবান সেনানিবাসের প্রস্তাবনা ও অনুরোধে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর ৬৯ রিজিয়ন দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদন হয়। চুক্তিতে ১৮টি শর্তাবলী প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়।
লিখিত বক্তব্যে ক্যশৈহ্লা মারমা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চিম্বুক পাহাড়ে পর্যটন ও পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের ইস্যুতে বিভিন্ন পক্ষ মানববন্ধন কর্মসূচিসহ অযৌক্তিক আন্দোলন ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। মূলত পর্যটন গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাবিত জায়গাটির আশপাশে কোনো পাহাড়ি গ্রাম বা পাড়া নেই এবং অতীতেও ওই স্থানে কোনো বসতবাড়ি ছিল না। জায়গাটি চিম্বুক পাহাড়েও নয়, এটি লামা উপজেলার ৩০২ নম্বর মৌজার নাইতং পাহাড় এলাকায় অবস্থিত।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, একটি পক্ষ পাহাড়ের উন্নয়ন চায় না। আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন বা হোটেল-মোটেল গড়ে উঠে বান্দরবান এগিয়ে যাক, বিষয়টি অনেকে মানতে পারছে না। স্বার্থান্বেষী একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সুশীল সমাজসহ স্থানীয়দের এদের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।