২০ হাজারেরও বেশি করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারের হাতে ২০ হাজারেরও বেশি করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে নতুন করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।
করোনা মোকাবিলায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, ডিএনসিসি মার্কেট ও দিয়াবাড়ির চারটি ফ্লোরে নতুন আরো সাড়ে চার হাজার করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই করোনা আইসোলেশন হাসপাতালগুলো উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে আরো নতুন সাড়ে চার হাজার করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এগুলো স্বাস্থ্য খাতের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দুই হাজার বেড, ডিএনসিসি মার্কেটে এক হাজার ৩০০ ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে এক হাজার ২০০ উন্নত নতুন বেড এখন প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে। এগুলোর পাশাপাশি দেশের রাজধানীসহ জেলা-উপজেলায় আরো ৬০১টি প্রতিষ্ঠান করোনা আইসোলেশনে প্রস্তুত রয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা মোকাবিলায় দেশে এখন ২০ হাজারেরও বেশি করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনায় দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে সঠিক নিয়মে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক সীমিত আকারে দেশের কিছু শিল্প কল-কারখানা খুলে দেওয়ার পক্ষে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে দেশের কিছু মানুষ কর্মহীন হয়ে অনাহারে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে সীমিত পরিসরে কিছু শিল্প কল-কারখানা খুলে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহুদেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড তো লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরাও সামনেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব।’
করোনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পর্যাপ্ত আইসোলেশন বেড, আইসিইউ সেন্টার, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বৃদ্ধিসহ নতুনভাবে আরো দুই হাজার চিকিৎসক ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এদের পাশাপাশি, বেশকিছু মেডিকেল টেকনোলজিস্টও আপাতত আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।