২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫ জন যে এলাকার
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪৫ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৪১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৪১৬ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, মৃতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাঁদের মধ্যে চারজন রাজধানীতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অপর একজন ঢাকা জেলার দোহারে মারা গেছেন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘বয়সের হিসাবে মৃতদের একজনের বয়স ১০ বছরের নিচে। করোনার পাশাপাশি শিশুটির নেফ্রটিক সিনড্রোম, অর্থাৎ কিডনির সমস্যা ছিল। আমরা শিশুটির জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। আর বাকি চারজনের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী একজন এবং অপর তিনজনের বয়স ৫০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। আমরা তাঁদেরও আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
অনলাইন বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪১৮ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৪১৬ জনে। তবে বাড়িতে থেকে যাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন, আমরা তাঁদের হিসাব গ্রহণ করিনি। শুধু যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে, তাঁদের মধ্যে আজ পর্যন্ত ৯ জন এবং মোট ১২২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।’
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ২৯ লাখ ২০ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৮২ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৭ হাজার ৮৬৩ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে আট লাখ ৩৬ হাজার ৯৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং দুই লাখ তিন হাজার ২৭৬ জন রোগী মারা গেছে।
নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।