২৫ দিন পর ভৈরবের অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে অপহৃত এক কিশোরীকে ২৫ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাগর মিয়া (২০), তার ভাই আফজাল মিয়া ও বোন শাহিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া কিশোরীসহ গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশ বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে। কিশোরী আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ওই কিশোরীকে তার বাবার জিম্মায় এবং তিন আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, কিশোরী অপহরণ মামলায় এর আগে সাগরের খালু ইদ্রিস মিয়া ও খালা আমেনা বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা বর্তমানে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে আছেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর জানান, গত ২৭ জুন শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে অপহরণ করে একই ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া। এই ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে ২ জুলাই ভৈরব থানায় অপহরণ মামলা করেন কিশোরীর বাবা। এতে সাগর মিয়াকে প্রধান আসামি, বাদীর প্রতিবেশী ও সাগরের খালা আমেনা বেগম, খালু ইদ্রিস মিয়া, ভাই আফজাল ও বোন শাহিদাকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় তাঁকে। দায়িত্ব পেয়ে তিনি আসামি ইদ্রিস ও আমেনাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠান। পরে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য নিশ্চিত হয়ে বুধবার সকালে তাঁর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে সাগর মিয়া, তার ভাই আফজাল ও বোন শাহিদা বেগমকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।