২ বার করে করোনায় আক্রান্ত ৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪ জন
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ছয়জন। তবে ওই ছয়জনই পুনরায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন। পরে এঁদের ভেতরে মোট চারজন পুনরায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আজ রোববার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত মোট ছয়জন ব্যক্তি পাওয়া গেছে যারা করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর পুনরায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই ছয়জনের ভেতরে চারজন আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি দুজন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন। এদের ভেতরে চারজন মাদারীপুরের। বাকি দুজন অন্য স্থানের।’
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘প্রথম দফায় আক্রান্ত হওয়ার পর ওই ছয়জনের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের শরীরে কোনো ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায়নি। প্রথম দফায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর কেউ এক সপ্তাহ কেউ-বা দুই সপ্তাহ পর পুনরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে তারা কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন সেটাও জানা যায়নি।'
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, ‘করোনায় পুনরায় আক্রান্ত হলে এটাকে কী বলে, সেই সম্পর্কে লিখিত কোনো ধারণা আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাইনি। গবেষকরাও এই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট ধারণা দেননি। তবে পুনরায় পজিটিভ কথাটা বলা যেতে পারে। পুনরায় আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে চিকিৎসাধীন থাকা দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। পরপর দুটি পরীক্ষায় যদি নেগেটিভ রেজাল্ট আসে তাহলে তাঁরাও বাড়ি ফিরে যাবেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪৫ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৪১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৪১৬ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে আজ রোববার নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে গত দেড় মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে ১২২ জন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন।