আগামী ৫ এপ্রিল থেকে সব ডাকঘর সীমিত পরিসরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সময় এসব ডাকঘর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের লেনদেনের পাশাপাশি সীমিত আকারে ই-কমার্স, মোবাইল মানি অর্ডার এবং পার্সেল সেবা প্রদানের জন্য কাউন্টার খোলা থাকবে।

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন জনস্বার্থে ডাকসেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সীমিত আকারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

গৃহীত সিদ্ধান্তের আওতায় উপজেলা ডাকঘরগুলো সীমিত পরিসরে সেবাদানের জন্য খোলা থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেল বা ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

জেলা পর্যায়ে জরুরি ডাক পরিবহন সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে ডাক বিভাগের নিজস্ব মেইল গাড়ি শুধু দিনে চলাচল করবে। উপজেলা পর্যায়ে মেইল চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ ও ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে সাব পোস্ট অফিসগুলোহ সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ অফিসগুলো নির্দিষ্ট করবেন। ক্যাশ সঞ্চালন ও ট্রেজারি লেনদেনের জন্য ডাক বিভাগের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে চলাচল করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ট্রেজারি লেনদেন ও নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করবেন। 

ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণ ও প্রেরণের ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ও করোনাভাইরাস মোকাবিলা-সংক্রান্ত সামগ্রী অগ্রাধিকার পাবে। সব ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণের সময় ডাকদ্রব্যের গায়ে প্রেরক ও প্রাপকের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ই-কমার্স ও পার্সেল শুধু বিতরণকারী ডাকঘর থেকে গ্রাহক গ্রহণ করতে পারবেন। ঘরে ঘরে কোনো ডাকদ্রব্য বিতরণ করা হবে না। ই-কমার্স ও পার্সেলের প্রাপককে সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে ডাকদ্রব্য সম্পর্কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। পারস্পরিক ডাক বিনিময় পদ্ধতিতে জিপিও ও প্রধান ডাকঘরকেন্দ্রিক ডাক বাছাই, ডাক ব্যাগ বন্ধন ও ডাক প্রেরণ করতে হবে।