৩ লাখ ১৩ হাজার সরকারি পদ শূন্য : প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে বলেছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বর্তমানে মোট তিন লাখ ১৩ হাজার ৪৮৮টি সরকারি পদ শূন্য রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে আজ রোববার প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শূন্য পদ পূরণে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি সংসদকে জানিয়েছেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ৮৮ হাজার ১২৩ পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।
বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের আরেক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বিভিন্ন স্তরে প্রায় ২৯০ জন সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ১৭৭ অফিসার চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ বা উচ্চশিক্ষায় অংশ নেওয়া এবং ব্যক্তিগত কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে মোট ১২ লাখ ১৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রুবিনা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারকদের শূন্য পদের সংখ্যা ১৫৮টি এবং বিচারকের পদের সংখ্যা এক হাজার ৬৯৭টি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফাঁকা পদ পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রুবিনা আক্তারের আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯টি। এর মধ্যে প্রায় ৩১ লাখ ২৭ হাজার নিম্ন আদালতে এবং প্রায় পাঁচ লাখ ১৩ হাজার মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার বিভিন্ন আদালতে বিচারক নিয়োগসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচারকদের জন্য মোট ৮৮৬ পদ তৈরির ব্যবস্থা নিয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারি আইনজীবীদের মামলা সম্পর্কিত কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে অ্যাটর্নি সার্ভিস অ্যাক্ট প্রণয়ন করা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন।
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানান, উভয় দেশের সুবিধাজনক সময়ে যৌথ নদী কমিশনের পরবর্তী বৈঠক করার জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।