৪৯ কম্পিউটার চুরি : তদন্ত কমিটির সদস্যের অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে ধুম্রজাল

Looks like you've blocked notifications!
বশেমুরবিপ্রবির ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম হিরা। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যপদ থেকে সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম হিরাকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কম্পিউটার চুরি বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. নুর উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত মঙ্গলবার রাতে অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মো. নুর উদ্দিন আহমেদ কোনো মন্তব্য না করে তদন্ত কমিটির প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

তবে, চিঠিতে তদন্ত কমিটির সব সদস্যের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হলেও অব্যাহতির বিষয়ে কিছুই জানেন না তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি হাতে পেলে জানতে পারব, কেন তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর কোনো সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তা আমি অবশ্যই চিঠির মাধ্যমে জানতে পারব।’

এ বিষয়ে অব্যাহতি পাওয়া তদন্ত কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম হিরা বলেন, ‘আমাকে কেন এবং কী কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা আমি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি গ্রুপ রয়েছে, আমার ধারণা, এ ব্যাপারে তা একটি কারণ হতে পারে।’

বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে গত ২৬ জুলাই ঈদের ছুটির মধ্যে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি যাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কঠন করে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দুদিন আগেই এক সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক সময়ে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে, এ ঘটনায় ৩৪টি কম্পিউটারসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানানো হয়।

এ নিয়ে তিন বছরে চারটি চুরির ঘটনায় দেড় শতাধিক কম্পিউটার হারিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।