৫১ লাখ মানুষকে করোনার সেবা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হটলাইন ব্যবস্থা চালু রেখেছে সেই শুরু থেকেই। হটলাইনের পাশাপাশি মুঠোফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে তারা। এখন পর্যন্ত মোট ৫১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৬ জনকে এই সেবা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
নাসিমা সুলতানা বলেন, হটলাইনে নিয়মিতভাবে ফোন কল ধরা ও স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩, ৩৩৩ এবং আইইডিসিআরের দুটি হট লাইনে আমরা কল পেয়েছি এবং সেবা দিয়েছি ৭৫ হাজার ১১৫টি। এ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৯১ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
‘ফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও আমরা স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। গত ২৪ ঘণ্টায় ফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার ২৪৮ জনকে। এই পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৫ জনকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়েছে।’
নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, ‘এই স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিনিয়তই চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন আরো ১৮ জন চিকিৎসক। স্বেচ্ছাভিত্তিতে এখন চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন চার হাজার ১৪ জন চিকিৎসক।’
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আটজন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬৩ জন। মৃত্যুর সংখ্যার বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, অধিকাংশ রোগীই ঢাকা ডিভিশনের। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর মধ্যে ১৩৭ জনই ঢাকা ডিভিশনের।’
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বাইরে মোট মারা গেছেন ২৬ জন। আমাদের আজকের যে মৃত্যু, এর ভেতরে ছয়জন পুরুষ আর দুজন নারী। এদের ভেতরে আবার ছয়জনই ঢাকায় আর দুজন ঢাকার বাইরের।’
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৬৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সাত হাজার ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৩১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৫ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৩৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৬ হাজার ৯৭০ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬২৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং দুই লাখ ১৮ হাজার ২৮ জন রোগী মারা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।