৬০ দিনে নিষ্পত্তির বিধান, ১৩ বছর ঝুলে থাকা মামলার কার্যক্রম স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশের হাইকোর্টের ফাইল ছবি

৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান থাকা সত্ত্বেও ১৩ বছর ধরে ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১-এ চলমান একটি মামলার কার্যক্রম আগামী এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থঋণ আদালতের মামলাটি বাতিলের বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। 

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ সোমবার  বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হাসান মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মৌসুমী রহমান।

এর আগে ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতায় ২০০৭ সালে ডেমরার গোলাম কিবরিয়ার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন ঢাকার অর্ধ ঋণ আদালত। কিন্তু সে সম্পত্তি ক্রোকমুক্ত ও নিজের দাবি করে ২০০৮ সালে পাল্টা আবেদন (দেওয়ানী বিবিধ আবেদন) জানান গোলাম হায়দার নামের এক ব্যক্তি। অর্থঋণ আদালত আইনের ৩২ ধারার বিধান অনুসারে, গোলাম হায়দারের আবেদনটি সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। অথচ বিগত প্রায় ১৩ বছরেও সে আবেদন নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে অপরিচিত গোলাম হায়দারের আবেদনের কারণে বিগত ১৩ বছর ধরে কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকেন গোলাম কিবরিয়া। দীর্ঘদিনেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় ১৩ বছরের চড়া সুদের দায় নিজের ওপর আসার অপেক্ষায় ভীত সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ গোলাম কিবরিয়া।

গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গোলাম হায়দারকে কখনোই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক কোনো সম্পর্কও নেই। এর পরও তিনি আমার সম্পত্তি (ক্রোককৃত) জোরপূর্বক নিজের বলে দাবি করে মামলা দেন। অথচ তিনি যেসব শরিকের মাধ্যমে জমি পেয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছেন, সেখানে আমাদের দলিলে অন্য শরিকদারের নাম রয়েছে। অর্থাৎ আমি আমার শরিকের মাধ্যমেই উক্ত সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছি, তা স্পষ্ট।’

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১-এ বিচারাধীন। মামলাটি খারিজ চেয়ে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর ওই আদালতে আবেদন জানান গোলাম কিবরিয়া। তবে অর্থঋণ আদালত-১-এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন সে আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর বিচারিক আদালতে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মামলাটির কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা চেয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ এক মাসের জন্য স্থগিত করেন।