৯৩ বছরের আইনজীবীর বিয়ে : আদালতপাড়ায় উৎসবের আমেজ
বিয়ের জন্য বয়স কোনো বাধা নয়। মনের বিশালতা ও পরিবারের সহযোগিতা থাকলে যেকোনো বয়সেই বিয়ে করা সম্ভব। কুমিল্লায় এক আইনজীবী ৯৩ বছর বয়সে বিয়ে করলেন। আর এই বিয়েকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার আদালতপাড়ায় বইছে উৎসবের আমেজ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যারাতে বিয়ের বিষয়টি আলোচনায় আসে। পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরের আড়াই লাখ টাকা নগদ প্রদান এবং পরিবারের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক অতিথির উপস্থিতিতে শহরের দেশওয়ালীপট্টিতে পাত্রীর ভাড়া করা বাসায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বর আইনজীবীর বয়স ৯৩ বছর হলেও পাত্রীর বয়স ৩৯ বছর। এই বর হলেন কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির পাঁচবারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন।
বিয়ের পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এই বিয়ের খবর। আজ সকাল থেকে কুমিল্লার আদালতসহ শহরের অলিতে-গলিতে চায়ের দোকানে মুখরোচক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিয়ে।
পাঁচবারের নির্বাচিত কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বয়োজ্যেষ্ঠ ইসমাইল হোসেন বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবছেন। প্রথম স্ত্রী মাহমুদা বেগম মমতাজের মৃত্যুর পর সাত বছর তিনি নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেছেন। নিঃসঙ্গতা থেকে সঙ্গী নিয়ে জীবনযাপন করতেই তিনি পরিবাবের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সবার মতামতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে মিনারা বেগমকে বিয়ে করেন।
বর অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেনের আগের সংসারের চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত। তার নাতি-নাতনিরাও অনেকে বিয়ে করে সংসার করছেন। বড় ছেলে ইছহাক হোসেন কুমিল্লার আদালতের আইনজীবী। তিনি জানান, তার মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিঃসঙ্গতায় ভোগছিলেন। পারিবারিকভাবে তার বাবাকে বিয়ে করাতে পেরে পরিবারের সবাই খুশি।
অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন বিয়ে করেছেন এমন খবরে কুমিল্লা আদালতের সহকর্মী আইনজীবীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বইছে। আজ সকালে অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন আদালতে সহকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত হলে সহকর্মীরা তাকে ঘিরে মিষ্টি বিতরণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আদালতপাড়ায় গণমাধ্যমকর্মীরাও জড়ো হন এই বয়সে বিয়ে করে সংসারী হওয়ার অনুভূতি জানতে। এর আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তবে ওই বিয়ে ছিল সাবেক রেলপথমন্ত্রীর প্রথম বিয়ে। মন্ত্রীর ওই বিয়েও বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।