কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদের জলসীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গা মুসলিমদের বহনকারী চারটি নৌকা মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ ছাড়া উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ১২ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত  রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হয়।

টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে টেকনাফের নাফ নদের জলসীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাগুলো। এ সময় বিজিবির বাধার মুখে নৌকা চারটি মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এসব নৌকায় ১০ থেকে ১৫ জন করে রোহিঙ্গা ছিল।

কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, উখিয়ার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ১২ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।

গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত পুলিশের নয় সদস্য নিহত হয়। সেই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে আসছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এর পর থেকে সেনা অভিযানের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির পক্ষ থেকে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তে রোহিঙ্গাবোঝাই ৩১৮টি নৌকা প্রতিহত করা হয়েছে। এসব নৌকায় প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা ছিল। এ সময় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সহায়তার দায়ে অন্তত ১৯ জন দালালকেও আটক করা হয়েছে। আটক দালালদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।