চলে গেলেন শিল্পী গফুর হালী
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার আবদুল গফুর হালী আর নেই। আজ বুধবার ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক, মারফতি, মাইজভাণ্ডারী গানের কিংবদন্তি ছিলেন আবদুল গফুর হালী। দুই হাজারের বেশি গান দিয়ে সমৃদ্ধ করে গেছেন লোকগানের ভাণ্ডার। অনেক কালজয়ী গানের স্রষ্টাও গফুর হালী। তাঁকে নিয়ে গবেষণা হয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। নির্মিত হয়েছে তথ্য চিত্র। গানে দিয়েছেন সুর, লিখেছেন নাটকও।
গত ৩ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিল্পী আবদুল গফুর হালী বলে গেছেন, মানুষ তাঁর কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকে।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণকারী আবদুল গফুর হালী সারা জীবন গানের মাঝেই কাটিয়েছেন। জনপ্রিয় গান ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে...’, ‘দেখে যারে মাইজভাণ্ডারে দেখে যারে…’, ‘ও শ্যাম রেঙ্গুন ন যাইও’, ‘তুঁই যাইবা সোনাদিয়া বন্ধু মাছ মারিবাল্লাই’সহ অসংখ্য আধ্যাত্মিক ও মাইজভাণ্ডারী গান তাঁকে অমর করে রাখবে। তাঁর শিষ্য শেফালী ঘোষ একুশে পদকসহ বিভিন্ন পদকে ভূষিত হলেও গফুর হালী আমৃত্যু অর্থকষ্টে ছিলেন।
আবদুল গফুর হালী দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ও শুক্রবার বাদ জুমা পটিয়ার নিজ গ্রামে মরহুমের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।