প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু, ক্লিনিকমালিক গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় পরপর প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর পর একটি ক্লিনিকের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ডা. মো. আমিনুল ইসলাম উপজেলা সদরের সিটি হাসপাতালের মালিক এবং দন্ত চিকিৎসক। তাঁকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা আবদুস সালাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, শহরের উকিলপাড়া মহল্লার একটি বাড়ি থেকে আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার প্রসূতি ও নারী হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত সামসুদ্দিনের ছেলে আবদুল গোফ্ফার।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মোসা. ঝর্না বেগম (২৫) গত শনিবার দুপুর ১২টায় ব্যথা নিয়ে সিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর অভিভাবকরা জেলা শহরে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু ক্লিনিকের পরিচালক আমিনুল ইসলাম রোগীকে যেতে বাধা দেন এবং বলেন, এখানেই বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে সিজার করা হবে।

পরে আমিনুল বাইরে থেকে চিকিৎসক না এনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজেই প্রসূতিকে সিজার করান। অপারেশনের পর তিনি একটি মৃত ছেলেসন্তান নিয়ে এসে অভিভাবকদের বলেন, অনেক চেষ্টার পরও বাচ্চাটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। 

তবে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম নিজে সিজার করার কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সদ্য বদলি হওয়া ডা. মো. মাহবুব আলম খোকন ঝর্নার সিজার করিয়েছেন।