এখনো সন্ধান মেলেনি চিকিৎসকের নিখোঁজ মেয়ের

Looks like you've blocked notifications!
বরিশালে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম সরোয়ার জাহান। ছবি : এনটিভি

একদিনেও বরিশালের কড়াইতলা খালে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ চিকিৎসককন্যা সাহেরী আক্তারের (১৩) সন্ধান মেলেনি। দ্বিতীয় দফায় আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই খালের অনেকাংশজুড়ে তল্লাশি চালিয়েও জীবিত কিংবা মৃত সাহেরীকে উদ্ধার করা যায়নি।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের নৌ বিভাগের স্টেশন অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাস জানান, খালটির গভীরতা ২০ থেকে ৩০ ফুট। সাধারণত এ অবস্থাতে উদ্ধার সম্ভব। কিন্তু স্রোত বেশি থাকায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে ভাটায় এক কিলোমিটার এবং জোয়ারে এক কিলোমিটারজুড়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আমাদের চার-পাঁচজন ডুবুরি উদ্ধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল ১০টার পর থেকে এই উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিদল অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রথম দফায় উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।

বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, লাশ ভেসে উঠেছে এমন উড়ো খবর পেয়ে পুলিশ ও ডুবুরিদল তদন্ত করেছিল। কিন্তু ফলাফল পাওয়া যায়নি। ডুবুরিদলের সঙ্গে পুলিশও ঘটনাস্থলে রয়েছে।

এদিকে ডা. গোলাম সরোয়ার জাহানের স্ত্রী নেশপাতি বেগমের (৩০) লাশের ময়নাতদন্ত আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন আহত ডা. গোলাম সরোয়ার। নগরীর বেসরকারি আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আহত অপর চিকিৎসক ডা. প্রদীপ কুমার বণিক। তাঁরা দুজনই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

শুক্রবার ভোলা থেকে স্পিডবোটে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম সরোয়ার জাহান, তাঁর স্ত্রী নেশপাতি বেগম, কিশোরী মেয়ে সাহেরী আক্তার, ভাগ্নে খোকন ও ডা. প্রদীপ কুমার বণিক। রাত ৮টার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর সংযোগস্থল কড়াইতলা খালের সাহেবের হাট নামক স্থানে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হন এবং মা ও মেয়ে নিখোঁজ থাকেন। রাত ৯টার দিকে নেশপাতি বেগমের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরিদল। এখনো নিখোঁজ রয়েছে মেয়ে।

নিহত নেশপাতি বেগমের বাবার বাড়ি ভোলায়। ভোলাতেই তাঁর স্বামী ডা. গোলাম সরোয়ারের প্রাইভেট চেম্বার। শ্বশুরবাড়ি বেড়ানোর পর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেম্বারে কাজ শেষে বরিশাল হয়ে ঢাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল চিকিৎসকের।